সংবাদচর্চা অনলাইনঃ
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুল মান্নান বলেছেন, তার স্ত্রী করোনায় মারা যাওয়ার পর পরিবারের সব সদস্যের দুই বার করোনা পরীক্ষা করালেও তা নেগেটিভ আসে। পরবর্তীতে ফলাফল পজিটিভ আসলে আমরা চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হই।
সোমবার ১৩ জুলাই নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল (ভিক্টোরিয়ায়) এসে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্য সচিব মান্নান বলেন, আমার স্ত্রী যখন করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করলো তখন একটা হাসপাতালে আমি আমার ছেলে মেয়েদের করোনা টেস্ট করাই। ওই টেস্টে তাদের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। আমার ছেলে পেশায় ডাক্তার। সে আমাকে বললো আব্বু আমাদের নেগেটিভ আসতে পারেনা। কেননা আম্মুর যখন করোনা হয়েছে আমরা তাকে জরিয়ে ধরেছি। আম্মুর সাথে এক সাথে বসে কথা বলেছি।
তিনি বলেন, আমার ছেলের কথা শোনার পর আমি আরেক জায়গায় তাদের করোনা পরীক্ষা করাই। ওই খানেও একই ভাবে নেগেটিভ রিপোর্ট আসে। আমি ভাবলাম দুইবার ওই নেগেটিভ আসছে হয়ত তাদের নাও হতে পারে। তখনও আমার ছেলে আমাকে বলে এই রিপোর্টও ভুল। পরবর্তিতে আমি অন্য একটি হাসপাতালে আমার সন্তানদের করোনা পরীক্ষা করাই। ওই খানে তাদের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। আমি ওই হাসপাতাল গুলোর নাম বলতে চাই না। এবং সাথে সাথে আমি আমার ছেলে মেয়দেরকে একটি হাসপাতালে ভর্তি করে ১৩ দিন রেখে চিকিৎসা করাই। পরে তারা সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেন। করোনা টেস্ট নিয়েও আমরা আশঙ্কায় আছি। তার মাঝে আবার এখন কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানের অপকর্ম করে যাচ্ছে। কোন প্রতিষ্ঠান ওই অপকর্ম করে ছাড় পাবে না।
খানপুর ৩শ শয্যা হাসপাতালে তত্ববধায়ক ডা. গৌতম রায়কে বলেন, আপনি কিসের সুপারিন্ডেন্ট হইছেন। আপনার হাসপাতালে কতজন রোগি আছে তা ভালো ভাবে বলতে পারেন না। একবার বলেন ১৭ জন আবার বলেন ২৬ জন।
নারায়ণগঞ্জ সিভিল সার্জনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এখানে করোনা এবং করোনা ছাড়া কোন রোগি চিকিৎসাবিহীন ফেরত যেতে পারবে না। যদি এমন ধরনের কোন অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোন মানুষ চিকিৎসা বিহীন থাকতে পারবে না।